বর্তমানে মাষ্টার্স ডিগ্রী পাস দেয়া সার্টিফিকেট ধারী বেকারের সংখ্যাই মনে হয় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। তার একমাত্র কারন তারা – এখনো বুঝতেই পারছে না বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের এই যুগে ঠিকে থাকতে হলে, সার্টিফিকেট এর চেয়েও দক্ষতার গুরুত্ব বেশি। তাই দক্ষতা উন্নয়নে ফাঁকিবাজি করা যাবে না, অন্যথায় বেকার বসে থাকতে হবে।
আপাতত ৫ টি সেক্টরের কথা বলছি, যেগুলোর চাহিদা বর্তমানে সব চেয়ে বেশি। আপনি নিজেকে নিম্মোক্ত ৫টির মধ্যে যে কোন একজন হিসেবে রুপ দিতে পারেন।-
১। গ্রাফিক্স ডিজাইনার
২। মাইক্রোসফট এক্সেল এক্সপার্ট
৩। ভিডিও এডিটর
৪। ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট
৫। ওয়েব ডিজাইনার
উপরে উল্লেখিত সেক্টর গুলোর চাহিদা বাংলাদেশেই লক্ষাধিক। বিভিন্ন অফিস বা লোকাল মার্কেট তো আছেই, আপনি চাইলে এসব দক্ষতা দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংও করতে পারেন, এমনকি উদ্যোক্তাও হতে পারেন। বেকারত্ব দূর করার উদ্দ্যেশ্যে ‘স্কিল ডেভেলাপমেন্ট সেল’ (Skill Development Cell (SDC) – Skills Da Country) ২০১৭ সাল থেকে কাজ করছে, নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো – শিক্ষার্থী, ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট ও বেকার যুবারা সব সময়ই টাকা পয়সার সংকটে ভূগে। তাই বিভিন্ন সময় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তারা কোর্স করতে পারে না, দাম বেশি হওয়ার কারনে। এক্ষেত্রে Skill Development Cell ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছে, সেটি হলো সর্বনিম্ম কোর্স ফ্রি, যা সবার সাধ্যের মধ্যে। কোর্স আউটলাইন, কোর্সের সঠিক মান এবং ভালো ট্রেইনার দ্বারা মানসম্মত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করে সকলকে দক্ষ করে তোলাই হলো SDC এর প্রধান লক্ষ্য।
কোর্স সমূহঃ https://skilldevelopmentcell.com/training/
হাজার হাজার প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ‘পদ/ চেয়ার’ খালি পরে আছে। বাইরের এজেন্সীকে দ্বিগুণ পয়সা দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে, শুধু মাত্র দক্ষ লোকের অভাবে। মোট কথা হলো -শুধু সার্টিফিকেট নিয়ে বসে না থেকে, সুযোগ গুলো কাজে লাগাতে হবে। এই করোনা পরিস্থিতিতে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারলে আপনাকে চাকরি খুঁজতে হবে না। চাকরি নিজেই আপনাকে খুঁজে নিবে।
– প্রকৌশলী সোমেন কানুনগো (উদ্যোক্তা ও ইয়ুথ মেন্টর), ফাউন্ডার, ডিইসি – ডি ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাব।